ইলেকট্রনিক ডিভাইসের হৃদয় বলে পরিচিত ক্যাপাসিটরে EPCOS-এর MKK525-D-30-P B25671A5347A375 মডেলটি বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে নীরব বিপ্লব ঘটাচ্ছে। ৩০μF ক্যাপাসিট্যান্স ও ৩৭৫V রেটিংযুক্ত এই কম্পোনেন্টটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি অ্যাপ্লিকেশনের জন্য।
ঢাকার তেজগাঁও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায় অবস্থিত একটি সোলার ইনভার্টার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এই মডেল ব্যবহার করে উৎপাদনশীলতা ২০% বৃদ্ধি করতে পেরেছে। তাদের প্রধান ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম জানান, "১০৫°C পর্যন্ত টেম্পারেচার রেজিস্ট্যান্স আমাদের ফ্যাক্টরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। MKK525-D-30-P-এর সেল্ফ-হিলিং প্রপার্টি আমাদের মেইন্টেন্যান্স খরচ কমিয়েছে।"
চট্টগ্রামের একটি টেক্সটাইল মিলে এই কম্পোনেন্টের প্রয়োগ দেখতে পাওয়া যায় মোটর ড্রাইভ সিস্টেমে। প্রায় ২,৫০০ অপারেশনিং ঘণ্টা পরীক্ষার পর দেখা গেছে, ক্যাপাসিটরের ESR মান প্রাথমিক অবস্থার ৯৫% ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড স্ট্যাবিলাইজেশন প্রজেক্টে এই মডেলের ব্যবহার নজরকাড়া। ট্রান্সিয়েন্ট ভোল্টেজ প্রতিরোধের ক্ষমতা এবং ৫০,০০০ ঘণ্টার অপারেশনাল লাইফ প্রকৌশলীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করেছে। রাজশাহীর একটি ইলেকট্রনিক্স রিপেয়ার শপের মালিক সজিব আহমেদ বলেন, "স্থানীয় বাজারের ৮০% UPS রিপেয়ার কাজে এখন এই মডেলের চাহিদা।"
EPCOS-এর স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটর টেকনোভেশন ইলেকট্রনিক্সের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে এই মডেলের বিক্রয় ১৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে রেলওয়ে সিগন্যালিং সিস্টেম এবং মেডিকেল ইকুইপমেন্ট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এর ব্যবহার বাড়ছে।