ইলেকট্রনিক ডিভাইসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে EPCOS ব্র্যান্ডের MKK800-D-25.0-01 পাওয়ার ক্যাপাসিটর আজ বাংলাদেশের শিল্পখাতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২৫µF ক্যাপাসিট্যান্স ও ৮০০V ডিসি রেটিংয়ের এই কম্পোনেন্টটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে হেভি ডিউটি ইন্ডাকশন হিটিং সিস্টেম, সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল মোটর কন্ট্রোল সার্কিটের জন্য।
ঢাকার আশুলিয়ায় অবস্থিত একটি টেক্সটাইল মিলে এই ক্যাপাসিটর ব্যবহারের অভিজ্ঞতা উল্লেখযোগ্য। প্রতিষ্ঠানটির ৩২০kW ইনডাকশন হিটিং ইউনিটে ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশনের সমস্যায় মাসিক ৮-১০ বার মেশিন বন্ধ হচ্ছিল। MKK800-D-25.0-01 ইনস্টল করার পর পাওয়ার ফ্যাক্টর ০.৭৫ থেকে ০.৯৩ এ উন্নীত হয় এবং বার্নার ইউনিটের তাপীয় দক্ষতা ১৮% বৃদ্ধি পায়। প্রযুক্তি সুপারভাইজার রফিকুল ইসলামের মতে, "এক বছরে বিদ্যুৎ বিল ৭.২ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে, যেখানে ক্যাপাসিটরের ইনভেস্টমেন্ট ছিল মাত্র ৪৫,০০০ টাকা"।
রংপুরের একটি সোলার পাম্প সিস্টেম ইন্টিগ্রেটর তাদের ১৫hp সাবমার্সিবল পাম্প কন্ট্রোলারে এই মডেল ব্যবহার করে রিপোর্ট করেছে ৩৫% কম ভোল্টেজ ড্রপ। গ্রামীণ এলাকায় লো-ভোল্টেজ সমস্যায় আগে যা দৈনিক ৪-৫ ঘন্টা পাম্প অপারেশন বাধাগ্রস্ত করত, তা এখন সপ্তাহে মাত্র ১ বার ঘটে।
বাজারে সাধারণ ক্যাপাসিটরের তুলনায় MKK800-D-25.0-01-এর বিশেষত্ব হলো এর সেলফ-হিলিং মেটালাইজড পলিপ্রোপিলিন ফিল্ম টেকনোলজি। -৪০°C থেকে +৮৫°C তাপমাত্রায় কাজ করার ক্ষমতাসম্পন্ন এই ইউনিট বাংলাদেশের গ্রীষ্মমন্ডলীয় আবহাওয়া ও ধূলিকণাযুক্ত পরিবেশে বিশেষ উপযোগী। রাজশাহীর একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরির মেইন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার নুসরাত জাহান বলেন, "৩ বছর ধরে ব্যবহার করেও ক্যাপাসিটরের ESR মান প্রায় নতুনের মতোই রয়েছে"।
স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স সরবরাহকারী টেকনোভোল্টের ডাটা অনুযায়ী, গত দুই বছরে এই মডেলের বিক্রয় ৩০০% বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষত প্লাস্টিক ইনজেকশন মোল্ডিং মেশিন এবং হাইব্রিড ইনভার্টার নির্মাতাদের মধ্যে। ভবিষ্যতে স্মার্ট গ্রিড প্রযুক্তি প্রসারের সাথে সাথে এই ধরনের হাই-রিলায়াবিলিটি পাওয়ার কম্পোনেন্টের চাহিদা আরও বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিচ্ছেন।