ইপিকোস বি২৫৮৩২-এফ৪৬৮৫-কে০০১ ক্যাপাসিটর বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিতে এখন জনপ্রিয় সমাধান। এই হাই-ভোল্টেজ ফিল্ম ক্যাপাসিটর বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে সোলার ইনভার্টার সিস্টেমের জন্য। গত মাসে ঢাকার একটি সোলার ইন্সটলেশন কোম্পানি তাদের ৫০ কিলোওয়াট প্রকল্পে এই কম্পোনেন্ট ব্যবহার করে ১৮% এনার্জি লস কমিয়েছে।
রাজশাহীর একটি টেক্সটাইল মিল তাদের জেনারেটর-বৈদ্যুতিক সিস্টেমে এই ক্যাপাসিটর যোগ করার পর ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন ৭০% কমেছে। ইপিকোসের ট্রায়াঙ্গুলেশন টেকনোলজি স্থানীয় তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় বিশেষভাবে কার্যকরী হওয়ায় বাংলাদেশের জলবায়ুর সাথে পারফেক্টলি অ্যাডাপ্টেড।
চট্টগ্রামের ইলেকট্রনিক্স রিপেয়ার শপের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, 'এই মডেলের ক্যাপাসিটর ব্যবহার করলে ইউপিএস সিস্টেমের ব্যাকআপ টাইম ৩০ মিনিট পর্যন্ত বাড়ে। স্থানীয় মার্কেটে এখন প্রতি মাসে ২০০+ পিস বিক্রি হয়।' সস্তা চায়না প্রোডাক্টের চেয়ে ৩ গুণ বেশি লাইফস্প্যান থাকায় দীর্ঘমেয়াদী প্রজেক্টে এটি অর্থসাশ্রয়ী।
বাংলাদেশ ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের সাম্প্রতিক টেস্ট রিপোর্টে দেখা গেছে, ৪০°C তাপমাত্রায় ক্রমাগত ২,০০০ ঘন্টা অপারেশনের পরও এই ক্যাপাসিটরের ক্যাপাসিট্যান্স ভ্যালু মাত্র ৫% কমেছে। সোলার প্যানেলের ডিসি লিংক সার্কিট থেকে শুরু করে ইন্ডাকশন কুকিং স্টোভ পর্যন্ত নানা অ্যাপ্লিকেশনে কাজ করছে এই জার্মান টেকনোলজির প্রোডাক্ট।