ইলেকট্রনিক ডিভাইসের হৃদয় বলা যায় ক্যাপাসিটরকে, যেখানে EPCOS B43456-S9608-M12 মডেলটি বাংলাদেশের শিল্পক্ষেত্রে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ৬০০০ মাইক্রোফ্যারাড ক্যাপাসিট্যান্স এবং ৪০০ ভোল্ট ভোল্টেজ রেটিং সহ এই কম্পোনেন্টটি বিশেষভাবে তৈরি হয়েছে ভারী শিল্পযন্ত্রের জন্য।
ঢাকার আশুলিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায় একটি টেক্সটাইল মিলের কেস স্টাডি লক্ষণীয়। তাঁদের ৭৫KW ইন্ডাকশন মোটরে লোড ওঠানামার সময় পাওয়ার ফ্যাক্টর সংশোধনের জন্য এই ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয়েছে। ফলাফলস্বরূপ, মোটরের এনার্জি খরচ ১৮% কমেছে এবং ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন ৯২% নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।
সৌরশক্তি খাতেও এর প্রয়োগ দেখা যায়। চট্টগ্রামের একটি ৫০KW সোলার প্ল্যান্টে ইনভার্টার সার্কিটে এই মডেল ব্যবহার করে সার্জ প্রোটেকশন বাড়ানো হয়েছে। বিশেষভাবে ডিজাইন করা অ্যালুমিনিয়াম ইলেক্ট্রোড এবং সেলফ-হিলিং প্রপার্টি ১৫,০০০ অপারেশনাল ঘণ্টার বেশি লাইফসাইপ নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশের জলবায়ু উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে ৮৫°C থেকে -৪০°C তাপমাত্রা সহনশীলতা। রাজশাহীর একটি রাইস মিলে ৯৫% আর্দ্রতাযুক্ত পরিবেশে ৩ বছর ধরে অবিচলিত পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে এই ইলেক্ট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর।
স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স সরবরাহকারী 'টেকনোভোল্ট ইঞ্জিনিয়ারিং' এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো: রাকিবুল হাসান বলেন, 'গত ২ বছরে আমরা ১২০০+ ইউনিট বিক্রি করেছি, প্রধানত পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন সেক্টরে এর চাহিদা বেড়েই চলেছে।'