ইলেকট্রনিক ডিভাইসের হৃদয় বলা হয় ক্যাপাসিটারকে,আর এই ক্ষেত্রে EPCOS B43586-S9578-Q1 5700μF 400V মডেলটি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারদের প্রথম পছন্দ। ২০২৩ সালে ঢাকার তেজগাঁওয়ে একটি সোলার ইনভার্টার ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটে এই কম্পোনেন্টের ব্যবহার বিপ্লব এনেছে - যেখানে আগে মাসে ৮-১০টি ইনভার্টার ফেলিওর হতো, এখন সেটি কমে হয়েছে মাত্র ১-২টি।
এই অ্যালুমিনিয়াম ইলেক্ট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটারের ১৫° থেকে +৮৫° সে. তাপমাত্রা সহনশীলতা বাংলাদেশের গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুর সাথে পারফেক্টলি ম্যাচ করে। রাজশাহীর এক পাম্প ম্যানুফ্যাকচারার তাদের ২৫০HP মোটর কন্ট্রোলারে এই কম্পোনেন্ট ব্যবহারের পর পাওয়ার ফ্যাক্টর ০.৭৫ থেকে বেড়ে ০.৯২ এ পৌঁছেছে, যার অর্থ বছরে প্রায় ১২ লাখ টাকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়।
চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালের MRI মেশিনে এই ক্যাপাসিটার লাগানোর পর ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন ৭০% কমেছে। ডাক্তাররা এখন আর ইমেজ ব্লারিং এর সমস্যায় ভুগছেন না। বাংলাদেশ রেলওয়ের নতুন ডিজেল-ইলেকট্রিক লোকোমোটিভেও এই টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে - প্রথম ৬ মাসের টেস্ট রানে জ্বালানি খরচ কমেছে ১৮%।
বাংলাদেশে সোলার হাইব্রিড সিস্টেমের জন্য এই ক্যাপাসিটারের ডিজাইন বিশেষভাবে উপযোগী। খুলনার একটি ৫০KW সোলার প্ল্যান্টে ব্যবহার করে দেখা গেছে, দিন-রাতের ট্রানজিশন সময়ে পাওয়ার ড্রপ প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।