বাংলাদেশের শিল্পখাতে ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্টের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে, বিশেষ করে পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স সেক্টরে। এই প্রেক্ষাপটে ইপিকোস B32314 A1506 ক্যাপাসিটর হয়ে উঠেছে প্রকৌশলীদের প্রথম পছন্দ। চট্টগ্রামের একটি সৌরবিদ্যুৎ প্লান্টে এই কম্পোনেন্টের ব্যবহার দেখে আপনি অবাক হবেন - ৩৫°C তাপমাত্রায়ও ১৫,০০০ ঘন্টার বেশি স্থায়িত্ব দিচ্ছে এই ডিভাইসটি।
ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত একটি টেক্সটাইল মিলের প্রধান ইলেক্ট্রিশিয়ান রফিকুল ইসলাম বলেন, 'মোটর কন্ট্রোল সিস্টেমে এই ক্যাপাসিটর ব্যবহারের পর বিদ্যুৎ খরচ ১৮% কমেছে। বিশেষ করে ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশনের সমস্যা একদমই পাই না এখন।' নারায়ণগঞ্জের একটি ইলেকট্রনিক্স ওয়ার্কশপে দেখা গেল ৪০% বেশি লোড ক্যাপাসিটি থাকা সত্ত্বেও এই মডেলের ক্যাপাসিটর ২০% কম জায়গা নিচ্ছে সার্কিট বোর্ডে।
বরিশালের একটি Marine Equipment Manufacturer কোম্পানির টেস্ট রিপোর্টে দেখা যায়, ৮৫% আর্দ্রতা সহ্য করেও এই কম্পোনেন্টের কর্মক্ষমতা বজায় থাকে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ১০০-৫০০ kHz ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জে এই ক্যাপাসিটর ৯৫% এর বেশি Efficiency প্রদর্শন করে।
বাংলাদেশের মতো ক্রান্তীয় জলবায়ুর দেশে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের স্থায়িত্ব বাড়াতে এই প্রোডাক্টের Self-healing প্রযুক্তি বিশেষ ভূমিকা রাখছে। গত তিন বছরে দেশে এই মডেলের বিক্রি বেড়েছে ৩০০%, যা স্থানীয় শিল্পখাতের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ইঙ্গিত দেয়।