ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিতে EPCOS MKD440-D-28.0 ফিল্ম ক্যাপাসিটরের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২৮μF ক্যাপাসিট্যান্স ও ৪৪০V রেটেড ভোল্টেজের এই কম্পোনেন্টটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স সিস্টেমের জন্য। ঢাকার তেজগাঁও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায় সম্প্রতি একটি সোলার ইনভার্টার প্রজেক্টে এই মডেলের ১৫০+ ইউনিট ইনস্টল করা হয়েছে, যেখানে ৪৫°C তাপমাত্রায়ও স্টেবল পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।
বাস্তব প্রয়োগের উদাহরণ হিসেবে চট্টগ্রামের একটি টেক্সটাইল মিলের কথা বলা যায়। তাদের ৩-ফেজ মোটর কন্ট্রোল সিস্টেমে MKD440-D-28.0 ব্যবহারের পর পাওয়ার ফ্যাক্টর ০.৮২ থেকে ০.৯৫ এ উন্নীত হয়েছে, যা মাসিক ৮% পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ কমিয়েছে। ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেন, 'আমরা ২ বছর ধরে কোনো মেইনটেনেন্স ছাড়াই চলছে, সেল্ফ-হিলিং প্রোপার্টি রিয়েল টাইমে সার্কিট প্রটেকশন দিচ্ছে'।
বাংলাদেশের জলবায়ু উপযোগী এই কম্পোনেন্টের মূল বৈশিষ্ট্য:
১. IP66 প্রটেকশন রেটিং সহ ডাস্ট ও ময়েশ্চার রেজিস্ট্যান্ট
২. -৪০°C থেকে +১০৫°C টেম্পারেচার রেঞ্জ
৩. ১০০,০০০ ঘন্টার বেশি অপারেশনাল লাইফটাইম
রাজশাহীর একটি ইলেকট্রিক ভেহিকল চার্জিং স্টেশনে টেস্টিংকালে দেখা গেছে, ৯৮% এর বেশি ডিসচার্জ এফিসিয়েন্সি বজায় রেখেছে এই ক্যাপাসিটর। স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ানদের মতে, ট্রানজিয়েন্ট ভোল্টেজ স্পাইক থেকে প্রটেকশনের জন্য এটি আদর্শ সমাধান।
EPCOS এর স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটর টেকনোভেশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, 'MKD440-D সিরিজের ৮৫% অর্ডারই আসে জেনারেটর কন্ট্রোল প্যানেল ও সোলার প্ল্যান্ট থেকে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ ও সিলেটের হাইড্রো প্রজেক্টগুলোতে এর চাহিদা বাড়ছে'।
বাংলাদেশের ইলেকট্রিক্যাল মার্কেটে এই প্রোডাক্টের সাফল্যের পেছনে মূল কারণ হলো এর মাল্টি-লেয়ার পলিপ্রোপিলিন ডিজাইন এবং সোল্ডারিং প্রসেসে বিশেষ টিনিং টেকনোলজি। যন্ত্রপাতির ভাইব্রেশন ও মেকানিক্যাল স্ট্রেস সহ্য করার ক্ষমতা স্থানীয় শিল্পের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।