ইলেকট্রনিক ডিভাইসের হৃদয় বলে পরিচিত ক্যাপাসিটরের মধ্যে EPCOS B32362A3157J030 মডেলটি বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। 150μF ধারণক্ষমতা ও 300V ভোল্টেজ রেটিংয়ের এই অ্যালুমিনিয়াম ইলেক্ট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর শিল্পখাত থেকে শুরু করে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ঢাকার একটি সৌর ইনভার্টার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এই কম্পোনেন্ট ব্যবহার করে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। তাদের 5KVA হাইব্রিড ইনভার্টারে B32362A3157J030 প্রয়োগের ফলে পাওয়ার ফ্যাক্টর সংশোধন ৯২% থেকে বেড়ে ৯৭% এ উন্নীত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রিয়াদ হাসানের মতে, "৪৫°C তাপমাত্রায় টানা অপারেশনের পরেও ক্যাপাসিটরের ESR মান ২৮mΩ-এর নিচে থাকে, যা সিস্টেমের দক্ষতা বজায় রাখে"।
চট্টগ্রামের একটি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটে এই কম্পোনেন্টের আরেকটি ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখা গেছে। ভেন্টিলেটর মেশিনের পাওয়ার সাপ্লাই মডিউলে ৩টি সমান্তরাল ক্যাপাসিটর ব্যবহার করে ভোল্টেজ রিপল ৩০০mV থেকে কমিয়ে ৭৫mV-এ আনা সম্ভব হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের টেস্টিং রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০,০০০ ঘণ্টা কন্টিনিউয়াস অপারেশনের পরও ক্যাপাসিট্যান্স ভ্যালুতে ১৫%-এর বেশি ডিগ্রেডেশন রেকর্ড করা যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা এই মডেলটিকে বাংলাদেশের জলবায়ুর জন্য উপযোগী বলেছেন কারণ:
১. ১০৫°C পর্যন্ত টেম্পারেচার রেঞ্জ
২. ১০,০০০ ঘণ্টার মিনিমাম লাইফটাইম
৩. RoHS কমপ্লায়েন্ট ডিজাইন
স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স সরবরাহকারী 'টেকনোভেশন লিমিটেড'-এর মতে, গত ৬ মাসে এই ক্যাপাসিটরের চাহিদা ৪০% বেড়েছে, বিশেষ করে UPS এবং সোলার চার্জ কন্ট্রোলার নির্মাতাদের মধ্যে।