বাংলাদেশের সোলার প্যানেল ও ফ্যাক্টরি মেশিনে EPCOS MKP850-D-38 B25666W7167A375 ফিল্ম ক্যাপাসিটরের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। ৩৮০µF ক্যাপাসিট্যান্স ও ৮৫০V DC রেটিং সম্পন্ন এই যন্ত্রটি পাওয়ার ইলেকট্রনিক্সে বিপ্লব এনেছে। গাজীপুরের একটি সোলার প্লান্টের মেইন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার রিয়াদুল ইসলাম বলেন: 'মৌসুমি বৃষ্টিতে আগের ক্যাপাসিটরে আর্দ্রতার সমস্যা হতো, EPCOS মডেল চালু করার পর ইনভার্টার ফেইলিওর ৭০% কমেছে'।
রাজশাহীর টেক্সটাইল মিলে এই কম্পোনেন্টের বিশেষত্ব দেখা গেছে। ১৪০°C পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারা এই ডিভাইসটি ১৮ ঘন্টা ধরে চলা সিলাই মেশিনের ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন নিয়ন্ত্রণ করে। চট্টগ্রামের ইলেকট্রিক ভেহিকল চার্জিং স্টেশনে ইন্সটলেশনের পর চার্জিং সময় ২৫ মিনিট কমিয়ে এনেছে বলে জানান টেকনিশিয়ান নাসির উদ্দিন।
এক্সট্রা লো ডিএফ (০.০০০১ পর্যন্ত) এবং সেলফ-হিলিং প্রোপার্টি এই ক্যাপাসিটরকে টেকসই করে তুলেছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক্স রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরীক্ষায় এটি ৫০,০০০ ঘন্টার ক্রমাগত অপারেশন টেস্ট পাস করেছে। ডায়মেক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারহানা ইয়াসমিনের মতে, 'জেনেরিক ক্যাপাসিটরের চেয়ে ৩ গুণ বেশি লাইফসাইড থাকায় দীর্ঘমেয়াদী প্রজেক্টে খরচ কমাচ্ছে'।
বাজারে ১২০০-১৫০০ টাকা মূল্যরেঞ্জের এই যন্ত্রটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, মোটর ড্রাইভ সিস্টেম এবং রিনিউয়েবল এনার্জি প্রোজেক্টে আদর্শ চয়েস। ঢাকার তেজগাঁও ইলেকট্রনিক্স মার্কেটের দোকানদাররা জানান, সপ্তাহে গড়ে ২০০-২৫০ পিস বিক্রি হয় এই মডেলের।