EPCOS B25666W7167A375 ক্যাপাসিটরের নাম শুনেছেন? এই কম্পোনেন্টটি আজ বাংলাদেশের পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন সেক্টরে আলোচনার কেন্দ্রে। জার্মান প্রযুক্তিতে নির্মিত এই পলিপ্রোপিলিন ফিল্ম ক্যাপাসিটার বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে হাই-ভোল্টেজ পাওয়ার সিস্টেমের জন্য। গত বছর চট্টগ্রামের একটি টেক্সটাইল মিলে ৪১৫V লো-ভোল্টেজ সমস্যা সমাধানে এই মডেলের ৩৫টি ইউনিট ইনস্টল করা হয়। ফলাফল? মাসিক বিদ্যুৎ বিল ১৮% কমেছে, মেশিনারির ওভারহিটিং সমস্যা ৭৫% হ্রাস পেয়েছে।
রাজশাহীর সোলার প্ল্যান্ট প্রকল্পে এই ক্যাপাসিটরের অনন্য বৈশিষ্ট্য দেখা গেছে। ৪৫°C তাপমাত্রায় ক্রমাগত ২০০০ ঘণ্টা অপারেশনের পরেও এর ক্যাপাসিট্যান্স ভ্যালু মাত্র ২% হ্রাস পেয়েছে। ঢাকার একটি এলিভেটর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি তাদের ৩-ফেজ মোটর কন্ট্রোল প্যানেলে এটি ব্যবহার করে পাওয়ার ফ্যাক্টর ০.৮৫ থেকে ০.৯৭ এ উন্নীত করেছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে এতে। IP66 প্রোটেকশন রেটিং থাকায় ময়মনসিংহের বর্ষাকালীন আর্দ্রতায়ও স্টেবল পারফরম্যান্স দেয়। সরকারি হিসাব মতে, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে বার্ষিক ৩২০ মেগাওয়াট-আওয়ার বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব। নোয়াখালীর একটি রিসাইক্লিং প্ল্যান্টে ৬ মাস ধরে চলা টেস্টে প্রতিটি ইউনিট দিনে গড়ে ১৪.৬ বার পাওয়ার স্যাগ প্রতিরোধ করেছে।