ইলেকট্রনিক ডিভাইস ডিজাইনে ক্যাপাসিটরের নির্বাচন যেকোনো ইঞ্জিনিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এই প্রেক্ষাপটে EPCOS-এর B32377A8566J050 মডেলটি বাংলাদেশের শিল্পখাতে বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে। ৩×৫৫.৮μF ক্যাপাসিট্যান্স এবং ১২০০VDC রেটিংযুক্ত এই উপাদানটি টেক্সটাইল মিলের মোটর ড্রাইভ সিস্টেমে অভিনব কৃতিত্ব দেখিয়েছে।
গাজীপুরের একটি বস্ত্রকলে ৪০০kW মোটরের জন্য এই ক্যাপাসিটার ব্যবহার করে পাওয়ার ফ্যাক্টর ০.৭৫ থেকে ০.৯৩ এ উন্নীত হয়েছে। ফলস্বরূপ মাসিক ১৮% বিদ্যুৎ বিল হ্রাসের পাশাপাশি সরঞ্জামের তাপমাত্রা ১৫°C কমেছে। প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের মতে,"মেশিনারির ভাইব্রেশন কমে যাওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ৩০% কমেছে"।
সৌরশক্তি প্রকল্পেও এই উপাদানটি সমান কার্যকর। চট্টগ্রামের ৫০kW সোলার প্লান্টে ইনভার্টার সার্কিটে B32377A8566J050 ব্যবহারের পর ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন ১২% থেকে ৩%-এ নেমেছে। বিশেষ করে বর্ষাকালের আর্দ্র পরিবেশে ৫৫°C তাপমাত্রায় স্থিতিশীল পারফরম্যান্স দেখায় এটি।
৩৫mm × ৬৫mm কম্প্যাক্ট ডিজাইন হওয়া সত্ত্বেও ৫০০০০ ঘণ্টার সার্ভিস লাইফ এই ক্যাপাসিটারের বিশেষত্ব। ঢাকার ইলেকট্রনিক্স সরবরাহকারী টেকনোভালার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন,"গত ৬ মাসে এই মডেলের ৩২০টি ইউনিট বিক্রি হয়েছে, প্রধানত ইন্ডাকশন হিটিং প্লান্ট এবং মেডিকেল এক্স-রে মেশিনের জন্য"।
বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক গ্রিডের ভোল্টেজ ওঠানামা মোকাবেলায় এই উচ্চ-ভোল্টেজ ক্যাপাসিটারের ভূমিকা ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ২ বছরে শিল্পক্ষেত্রে এর ব্যবহার ৪০% বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।