বাংলাদেশের ফ্যাক্টরি ও পাওয়ার প্লান্টে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় LEM DVL250 ভোল্টেজ সেন্সরের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। এই ডিভাইসটি 0.5% এর以内 সঠিকতা দিয়ে 1000V পর্যন্ত ভোল্টেজ মনিটরিং করে, যা চট্টগ্রামের টেক্সটাইল মিল থেকে খুলনার সোলার পাওয়ার প্লান্ট পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজেক্টে ব্যবহৃত হচ্ছে।
গাজীপুরের একটি অটোমোবাইল ফ্যাক্টরিতে গত বছর এই সেন্সর ব্যবহার করে মেশিনারি ব্রেকডাউন 40% কমেছে। সিস্টেমটি রিয়েল-টাইমে 3-ফেজ ভোল্টেজের তারতম্য শনাক্ত করে অপারেটরদের আগাম সতর্কতা দিচ্ছে। রাজশাহীর 50MW সোলার প্লান্টে DVL250 এর IP67 রেটিং ডিজাইন বর্ষায়ও নিরবিচ্ছিন্ন ডাটা ট্রান্সমিশন নিশ্চিত করছে।
এই ডিভাইসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর ডুয়াল-আইসোলেশন টেকনোলজি। ঢাকার একটি সাবস্টেশনে পরীক্ষায় দেখা গেছে, 150°C তাপমাত্রায়ও সেন্সরের রিডিংয়ে 0.2% এর বেশি পার্থক্য পড়েনি। বাংলাদেশের গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুর জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হাউজিং করোশেন প্রতিরোধী, যা উপকূলীয় অঞ্চলের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আদর্শ।
স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, DVL250 এর কনফিগারেশন সফ্টওয়্যার বাংলাদেশি টেকনিশিয়ানদের জন্য ইউজার-ফ্রেন্ডলি। চুয়াডাঙ্গার একটি রাইস মিলে মাত্র ৩ দিনের ট্রেনিংয়ে কর্মীরা পুরো সিস্টেম চালানো শিখে গেছেন। বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিডে হঠাৎ ভোল্টেজ ওঠানামা মোকাবেলায় এই ডিভাইস এখন সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠছে।