welcome
We've been working on it

LEM DVL2000 ভোল্টেজ সেন্সর: শিল্প ও শক্তির সমাধানে কেন এটি বাংলাদেশের প্রথম পছন্দ?

বাংলাদেশের শিল্প ও শক্তি খাতে LEM DVL2000 ভোল্টেজ সেন্সরের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই স্মার্ট ডিভাইসটি শুধু উচ্চ নির্ভরতা নয়, বরং জটিল পরিবেশেও সঠিক ডেটা প্রদান করে। সুইজারল্যান্ডের প্রযুক্তি আর বাংলাদেশের স্থানীয় চাহিদার সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এই যন্ত্র। ঢাকার আশুলিয়ার একটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে DVL2000-এর ব্যবহার দেখে আসলাম। তাদের প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, "প্রতিদিন ৫০০ কিলোওয়াট সোলার আউটপুট মনিটরিংয়ে আগের সেন্সরে ২% এরর রেট ছিল। DVL2000 চালু করার পর এরর কমে ০.৫% এ নেমেছে, বছরে প্রায় ২০% অপচয় কমেছে"। চট্টগ্রামের একটি টেক্সটাইল মিলে পাওয়ার কোয়ালিটি মনিটরিংয়ে এই ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রোডাকশন ম্যানেজার নুসরাত জাহান বলেন, "মেশিনের ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন আগে সঠিকভাবে ধরতে পারতাম না। এখন রিয়েল-টাইম ডেটা পেয়ে ইলেকট্রিকাল মেইনটেনেন্স খরচ ৩০% কমিয়েছি"। বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির একটি সাবস্টেশনে DVL2000 ইনস্টল করা হয়েছে। সিনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান জাহিদ হাসান বললেন, "বর্ষায় আর্দ্রতা সহ্য করে কিভাবে ডিভাইসটি কাজ করে তা দেখে অবাক হয়েছি। গত ৬ মাসে কোনো ক্যালিব্রেশন ছাড়াই সঠিক রিডিং দিচ্ছে"। এই সেন্সরের IP67 রেটিং বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকার জন্য আদর্শ। রংপুরের একটি ডিজেল জেনারেটর সেটে এটি ব্যবহার করে স্থানীয় টেকনিশিয়ানরা বলছেন, "ধুলাবালি আর তেলের সংস্পর্শেও পারফরম্যান্সে কোনো পরিবর্তন আসে না"। বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য DVL2000-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর ০-২০০০V মেজারমেন্ট রেঞ্জ। ঢাকা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. ফারহানা আক্তার বলেন, "এটি পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে শুরু করে অটোমোবাইল সেক্টর পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য"। স্থানীয় ডিলার টেকনোভেশন বাংলাদেশের সিইও সজল চৌধুরী জানান, "গত এক বছরে আমরা ১৫০+ শিল্প প্রতিষ্ঠানে DVL2000 সাপ্লাই করেছি। ৯৮% কাস্টমার স্যাটিসফেকশন রেট আমাদের গর্ব"। যারা ভাবছেন বিদেশি প্রযুক্তি বাংলাদেশের পরিবেশে টিকবে কিনা, তাদের জন্য LEM DVL2000-এর স্থানীয় টেস্টিং রিপোর্ট দেখার পরামর্শ। বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ডিভাইস ৪৫°C তাপমাত্রা এবং ৯৫% আর্দ্রতায়ও সঠিকভাবে কাজ করে।