বাংলাদেশের শিল্পখাতে LEM HAX600 কারেন্ট সেন্সর এখন অপরিহার্য একটি টুল। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি থেকে পাওয়ার প্ল্যান্ট পর্যন্ত, এই সুইস প্রযুক্তির ডিভাইসটি মেশিনের কারেন্ট প্রবাহ রিয়েল-টাইমে মনিটরিং করে সমস্যা আগে থেকেই শনাক্ত করছে। চট্টগ্রামের একটি টেক্সটাইল মিলে গত বছর ১৫টি স্পিনিং মেশিনে HAX600 ইনস্টল করার পর বিদ্যুৎ খরচ ১৮% কমেছে, আর মেশিন ডাউনটাইম প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
রাজশাহীর সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টে এই সেন্সর ব্যবহার করে দেখেছেন ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম: 'মডিউলটির ±0.5% একুরেসি আমাদেরকে প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা ম্যানুয়াল চেকিং এর কাজ বাঁচিয়েছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে যখন কারেন্ট ফ্লাকচুয়েশন বেশি হয়, তখন এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যালার্ট জেনারেট করে।'
HAX600-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর IP67 ওয়াটারপ্রুফ বডি। খুলনা অঞ্চলের শিপইয়ার্ডে সমুদ্রের লবণাক্ত বাতাসেও ডিভাইসটি স্থিতিশীল পারফরম্যান্স দিচ্ছে। স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ানরা প্রশিক্ষণে মাত্র ২ ঘণ্টায় এর ওয়্যারিং শিখে নিতে পারেন - এটির ৩-স্টেপ ইন্সটলেশন সিস্টেম বাংলাদেশের টেকনিশিয়ানদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
বাংলাদেশ ইলেকট্রিসিটি বোর্ড সম্প্রতি ১২টি সাবস্টেশনে এই সিস্টেম ট্রায়াল দিয়েছে। ফলাফল অনুযায়ী, ভোলtage ফ্লাকচুয়েশন সম্পর্কিত অভিযোগ ৪০% কমেছে। ঢাকার একটি অটোমোবাইল ফ্যাক্টরির মেইন্টেন্যান্স ইনচার্জ জাহিদ হাসান বলেন: 'প্রতি শিফটে ২ বার করে কারেন্ট লগ নেওয়ার ঝামেলা এখন নেই। মোবাইল অ্যাপে লাইভ ডাটা দেখে আমরা প্রেডিক্টিভ মেইনটেন্যান্স প্ল্যান করতে পারছি।'