বাংলাদেশের শিল্পখাতে LEM LAH100-P কারেন্ট সেন্সর দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই ডিভাইসটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে হাই-প্রেসিজন কারেন্ট মনিটরিংয়ের জন্য। গত বছর চট্টগ্রামের একটি টেক্সটাইল মিলে ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশনের সমস্যা সমাধানে এই সেন্সর ব্যবহার করে ৩৫% এনার্জি সেভিং অর্জন করেছে, যা স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারদের মন্তব্য অনুযায়ী 'গেম-চেঞ্জিং' অভিজ্ঞতা ছিল।
মূল সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে ০.৫% এর নিচে মেজারমেন্ট এয়ারর। রাজশাহীর একটি সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টে LAH100-P ইনস্টল করার পর তাদের ইনভার্টার এফিসিয়েন্সি মনিটরিং ক্ষমতা ৪০% বৃদ্ধি পেয়েছে। 'এখন আমরা রিয়েল-টাইম ডাটা দেখে ২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো অ্যানোমালি শনাক্ত করতে পারি,' বলেছেন প্ল্যান্ট ম্যানেজার জাহিদ হাসান।
খুলনার স্টিল মিলের ইলেক্ট্রিক্যাল টিমের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এর -৪০°C থেকে +৮৫°C তাপমাত্রা সহনশীলতা। গত বর্ষায় যখন অন্য সেন্সর ফেইল করছিল, LAH100-P নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে গেছে। স্থানীয় সার্ভিস প্রোভাইডার নিউটেক ইঞ্জিনিয়ারিং এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মডেলের ফেইলুর রেট প্রতিযোগী ব্র্যান্ডগুলোর চেয়ে ৬০% কম।
ইনস্টলেশনের সহজতা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার একটি অটোমেশন কোম্পানির টেকনিশিয়ান রবিন মিয়া ব্যাখ্যা করেন, 'সাধারণ সেন্সর ইনস্টল করতে ৩-৪ ঘণ্টা লাগে, কিন্তু LEM এর ডুয়াল-হোল মাউন্টিং সিস্টেমে আমরা ৯০ মিনিটেই কাজ শেষ করি।'