বাংলাদেশের কারখানা ও পাওয়ার প্লান্টে LEM HAS200-S/SP50 কারেন্ট সেন্সরের ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই হাই-একুরেসি সেন্সরটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে 50A পর্যন্ত কারেন্ট মনিটরিংয়ের জন্য, যেখানে সিল্ক মিলের মতো শিল্পপ্রতিষ্ঠানে এর ব্যবহার লক্ষণীয়।
ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় অবস্থিত 'প্রিমিয়াম টেক্সটাইলস' কারখানাটির উদাহরণ নেওয়া যাক। ২০২৩ সালে তারা তাদের ১৫টি উইন্ডিং মেশিনে HAS200-S/SP50 ইনস্টল করে। ফলাফলস্বরূপ মাসিক ১৮% বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে, যার মূল কারণ সেন্সরটির ±0.5% এর কম ত্রুটির হার। প্রযুক্তি ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াদ হোসেন বলেন, "সেন্সর থেকে পাওয়া রিয়েল-টাইম ডেটা আমাদের প্রিডিক্টিভ মেইনটেনেন্স সিস্টেমের সাথে ইন্টিগ্রেট করে যন্ত্রপাতির অকার্যকর সময় ৪০% কমিয়েছি"।
চট্টগ্রামের সোলার পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পে এই ডিভাইসের আরেকটি অভিনব প্রয়োগ দেখা গেছে। ১০০kW সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে HAS200-S/SP50 এর SP50 সংস্করণ ব্যবহার করে ইনভার্টার আউটপুট মনিটরিং করা হয়। স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ান জাহিদুল ইসলাম ব্যাখ্যা করেন, "বৃষ্টি-বাদলের সময় কারেন্ট ফ্লাকচুয়েশন দ্রুত শনাক্ত করে সিস্টেম অটো-অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে পারছি, যার ফলে প্যানেল ড্যামেজের ঝুঁকি কমেছে"।
এই সেন্সরের IP67 রেটেড বডি বাংলাদেশের আর্দ্র জলবায়ুর সাথে ভালোভাবে খাপ খায়। রাজশাহীর একটি চিনি কলের মেইন্টেনেন্স ইনচার্জ ফারহানা আক্তার উল্লেখ করেন, "গত বর্ষায় যখন পুরো কারখানার ৩০% এলাকা পানিতে ডুবে গিয়েছিল, HAS200 সেন্সরগুলো সম্পূর্ণ সক্রিয় ছিল"।
বাজারে সহজলভ্যতা এবং LEM এর স্থানীয় টেকনিক্যাল সাপোর্ট এই পণ্যটিকে বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন সেক্টরে প্রথম পছন্দে পরিণত করেছে। ইলেকট্রনিক্স দোকান মালিক রবিউল আলম বলেন, "গত ৬ মাসে আমরা শুধু চট্টগ্রাম বন্দর এলাকাতেই ১২০+ HAS200-S/SP50 সেন্সর সরবরাহ করেছি, প্রধানত প্লাস্টিক মোল্ডিং মেশিন এবং জেনারেটর সেটের জন্য"।