বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শক্তি চাহিদা মেটাতে সৌর শক্তি প্রকল্পগুলো আজ অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। এই প্রেক্ষাপটে EPCOS B43456-S9508-M21 এলুমিনিয়াম ইলেক্ট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটরটি প্রকৌশলীদের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে। গাজীপুরের একটি ১০ মেগাওয়াট সোলার প্ল্যান্টে এই কম্পোনেন্টের ব্যবহার দেখে অবাক হবেন অনেকেই। প্লান্ট ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম আমাদের জানান, 'মধ্যাহ্নের তীব্র তাপে যখন ইনভার্টার টেম্পারেচার ৫৫°C ছাড়ায়, তখনও এই ক্যাপাসিটরের ক্যাপাসিট্যান্স ভ্যালু ৯৫০০µF থেকে মাত্র ৩% হ্রাস পায়'। চট্টগ্রামের একটি টেক্সটাইল মিলের ইলেক্ট্রিক্যাল মেইন্টেন্যান্স টিমের অভিজ্ঞতা আরো চমকপ্রদ। তারা ৪০০kVAR পাওয়ার ফ্যাক্টর করেকশন ইউনিটে এই মডেলটি প্রয়োগ করে মাসিক বিদ্যুৎ বিল ১৮% কমিয়েছে। প্রধান প্রকৌশলী সুমাইয়া আক্তার বলেন, '১০৫°C টেম্পারেচার রেটিং এবং ৮,০০০ ঘন্টার লাইফস্প্যান আমাদের মেশিনারির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে'। বাজারের সাধারণ ক্যাপাসিটরের তুলনায় এই মডেলটির বিশেষত্ব হলো তার স্বয়ংক্রিয় ভেন্টিং সিস্টেম। রাজশাহীর একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে ২০২২ সালে সংঘটিত একটি ঘটনায় দেখা গেছে, ওভারভোল্টেজ অবস্থায় ডিভাইসটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রেশিয়ালাইজড গ্যাস নির্গত করে ব্লাস্টিং প্রতিরোধ করতে পেরেছে। স্থানীয় ইলেক্ট্রনিক্স ডিস্ট্রিবিউটর 'টেকনোভেশন লিমিটেড'-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, দেশে আমদানিকৃত ৭৮% B43456-S9508-M21 ইউনিট সোলার ইনভার্টার এবং ইন্ডাকশন হিটিং সিস্টেমে ব্যবহৃত হচ্ছে। রংপুরের একটি এগ্রিকালচারাল পাম্প ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটে এই কম্পোনেন্ট ব্যবহার করে মোটর কন্ট্রোল সার্কিটের দক্ষতা ৯২% থেকে বেড়ে ৯৬.৫% হয়েছে। উল্লেখ্য, EPCOS-এর স্থানীয় টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে সম্প্রতি এই মডেলের উপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৮৫% আর্দ্রতার পরিবেশে অন্যান্য ব্র্যান্ডের ক্যাপাসিটর যেখানে ৬ মাসের মধ্যে ফেইলিউর রেট দেখায়, সেখানে B43456-S9508-M21 ১৮ মাস পরেও ১০০% পারফরম্যান্স ধরে রাখে। বাংলাদেশের জলবায়ু条件和 শিল্প চাহিদা বিবেচনায় এটিকে প্রকৌশলীদের জন্য একটি স্মার্ট বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।