ইলেকট্রনিক ডিভাইসের হৃদয় বলা হয় ক্যাপাসিটারকে। EPCOS B43310-J9478-A82 এই অ্যালুমিনিয়াম ইলেক্ট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটারটি শিল্পখাতে বিপ্লব এনেছে। ৮৫°C তাপমাত্রায় ১০,০০০ ঘন্টার কর্মক্ষমতা দিয়ে এটি পাওয়ার সাপ্লাই, ইনভার্টার এবং মোটর কন্ট্রোল সিস্টেমে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। রাজশাহীর একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে এই ক্যাপাসিটার ব্যবহার করে ইনভার্টারের দক্ষতা ১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকল্প ইঞ্জিনিয়ার রিয়াদ হোসেন বলেন, 'বৈদ্যুতিক লোড ফ্লাকচুয়েশনের সময়ও স্টেবিলিটি মেইন্টেন করে'। চট্টগ্রামের টেক্সটাইল মিলে ৩ বছর ধরে চলা এই কম্পোনেন্টের পারফরম্যান্স নিয়ে মেইন্টেন্যান্স টিম লিডার ফারহানা আক্তার জানান, 'মেশিনের ভাইব্রেশন সহ্য করেও এখনো জিরো ফেইলিউর রেট'। ১০৫°C পর্যন্ত টেম্পারেচার রেজিস্ট্যান্স এবং ৩৫০mA রিপল কারেন্ট ক্ষমতা এটিকে ভারী শিল্পের জন্য আদর্শ করে তুলেছে। বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টরে এই ক্যাপাসিটারের ব্যবহার বাড়ছে। ঢাকার একটি বেস স্টেশন প্রকল্পে ৮০% পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটে এটি ইনস্টল করা হয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ ড. নুসরাত জাহান বলেন, 'কম ইএসআর এবং হাই রিলায়াবিলিটি বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ'। এই কম্পোনেন্টের সেল্ফ-হিলিং প্রোপার্টি এবং রিয়াক্টিভ পাওয়ার কম্পেনসেশন ক্ষমতা বাংলাদেশের মতো ট্রপিকাল আবহাওয়ায় বিশেষ উপযোগী। সাভারের একটি ইলেকট্রিক ভেহিকল চার্জিং স্টেশনে টেস্টিংয়ে দেখা গেছে, ৯৫% আর্দ্রতায়ও পারফরম্যান্স স্ট্যাবল থাকে।